শিশু ও বয়স্কদের জন্য অনলাইনে কুরআন হিফজ কোর্স

হিফজ অনেক দেশে স্থানীয় মসজিদ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পড়ানো হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত শারীরিক ক্লাসে অংশ নেয়। এই পদ্ধতিটি অনেক ব্যক্তির পক্ষে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে যেমন সময় সীমাবদ্ধতা, ভৌগলিক সীমাবদ্ধতা বা যোগ্য শিক্ষকের অভাব। এ সমস্যা সমাধানে তালিমাস সুন্নাহ একাডেমি অনলাইনে কোরআন মুখস্থ করার কোর্স চালু করছে।

আলহামদুলিল্লাহ, আমরা এই কোর্সে অত্যন্ত সহজ ও কার্যকর একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করেছি যাতে একজন শিক্ষার্থী অল্প সময়ে সহজেই কুরআন মুখস্থ করতে পারে। একজন স্কুলগামী ছাত্র ও কাজকর্মে ব্যস্ত মানুষও কুআন মুখস্ত করতে পারে যদি তার অন্তরে কুরআন শেখার দৃঢ় সংকল্প ও আগ্রহ থাকে। 

 ছোট ছোট কিছু সুরা মুখস্ত করতে পারেন যা আপনার সালাতের মনযোগ বাড়িয়ে দিবে। এছাও আমলী ছুরাগুলো মুখস্ত করে ইবাদতের মাত্রা বড়াতে পারেন।  

তাই দেরি না করে তালিমুস সুন্নাহ একাডেমির সাথ যক্ত হয়েযান । জাজাকাল্লহ

ইনশাআল্লাহ এ লক্ষ্যে আমাদের যাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন হবে। আপনি যদি অনলাইনে কুরআন মুখস্থ করতে চান তবে আপনাকে শুরু করতে সহায়তা করার জন্য এখানে কিছু পদক্ষেপ এবং টিপস রয়েছে:কুরআন মুখস্থ বলতে পুরো কুরআন ই মুখস্ত করতে হবে বিষয়টা এমন নয় । আপনি আম্মাপাড়ার ছোট সুরা দিয়ে শুরু করতে পারেন।

১. সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: মুখস্থ করার জন্য আপনার লক্ষ্যগুলি সংজ্ঞায়িত করুন। আপনি কয়েকটি আয়াত, একটি সূরা (সূরা) বা পুরো কুরআন মুখস্থ করার লক্ষ্য রাখুন না কেন, সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য থাকা আপনাকে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করবে।

২. একটি উপযুক্ত সময় নির্বাচন করুন: আপনার কুরআন মুখস্থ সেশনের জন্য একটি নিয়মিত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ সময় নির্ধারণ করুন। এমন একটি সময় চয়ন করুন যখন আপনি সবচেয়ে বেশি মনোনিবেশ করেন এবং মুখস্থ করার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সময়কাল উত্সর্গ করতে পারেন।

৩. একটি শান্ত এবং কোলাহলমুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন: আপনার মুখস্থ সেশনের জন্য একটি শান্ত ,কোলাহলমুক্ত জায়গা চয়ন করুন। আপনার কুরআন অধ্যয়নের সময় আপনাকে আরও ভালভাবে মনোনিবেশ করতে সহায়তা করার জন্য এটি সহায়ক হবে।

 ৪. সংক্ষিপ্ত সূরা দিয়ে শুরু করুন: আপনি যদি শিক্ষানবিস হন তবে ছোট অধ্যায় বা আয়াত দিয়ে শুরু করুন। এটি আপনার আত্মবিশ্বাসকে বাড়িয়ে তুলবে এবং মুখস্থ করা আরও সহজ করে তুলবে।

৫. তেলাওয়াত শুনুন: নিয়মিত দক্ষ ক্বারীর কুরআন তেলাওয়াত শুনুন। এটি সঠিক উচ্চারণে সহায়তা করবে এবং আপনি যা মুখস্ত করছেন তা শক্তিশালী করবে।

৬. বুঝে মুখস্থ করুন: যে আয়াতগুলো মুখস্থ করছেন সেগুলোর অর্থ বোঝার চেষ্টা করুন। এটি কুরআনের সাথে আপনার সংযোগ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং মুখস্থবিদ্যাকে আরও অর্থবহ করে তুলতে পারে। অর্থ বুঝতে আমাদের অনলাইন কুরআন তাফসীর / কুরআন অনুবাদ কোর্সটি করুন

৭. নিয়মিত চর্চা করুন: আপনি যা মুখস্থ করেছেন তা ধরে রাখার জন্য ধারাবাহিক চর্চা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য পূর্বে মুখস্থ করা অংশগুলি চর্চা করার জন্য প্রতিদিন সময় আলাদা করুন।

৮ .অনুরূপ আয়াতের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিনঃ পবিত্র কুরআনের অনেক আয়াতের মধ্যে পারস্পরিক মিল রয়েছে। অনেক সময় এক সূরার আয়াত অন্য সূরার আয়াতের অনুরূপ হয়, আবার এক শব্দ অন্য শব্দের অনুরূপ হয়।  প্রথমে সহজ মনে হলেও ধীরে ধীরে তা কঠিন হয়ে যায়।  তাই অনুরূপ আয়াতগুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।

৯.হিফজ শক্ত হওয়ার আগে সামনে না এগোনোঃ অনেক সময় আপনি হিফজ শেষ করার জন্য খুব আগ্রহী হতে পারেন, তাই মনে হয় মুখস্থ করা অংশটি শক্ত নয় এবং আপনি দ্রুত এগিয়ে যেতে চান।  কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে, মুখস্থ করতে যা কম পরিশ্রম লাগে তা মস্তিষ্কে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না।

কুরআনে হাফেজ হওয়ার ফজিলত ও নবীর সুসমাচার সম্পর্কে জানুন। এবং তালিমাস সুন্নাহ একাডেমীতে  আপনার এবং আপনার সন্তানের জন্য হিফজ শুরু করুন।

যারা কুরআন পাঠ করে তারা আল্লাহর আত্মীয়: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কতক লোক আল্লাহ্‌র পরিজন। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! তারা কারা? তিনি বলেনঃ কুরআন তিলাওয়াতকারীগণ আল্লাহর পরিজন এবং তাঁর বিশেষ বান্দা। ইবনে মাজাহ ২১৫

দশ বংশধরকে জান্নাতের জন্য সুপারিশ করার অনুমতি দেওয়া: রাসুল (সা.) বলেন, 'যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করবে, তেলাওয়াত করবে এবং মুখস্থ করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তাকে তার দশ বংশধরের মধ্য থেকে সুপারিশ করার অনুমতি দেবেন, যাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত ছিল। ' (তিরমিজি, ২য় খন্ড, হাদিস : ১১৪)

 হাফেজকে ফেরেশতাদের সাথে তুলনা : আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ কুরআনের হাফেজের পাঠক সম্মানিত ফেরেশতাদের ন্যায়। যে ব্যক্তি কঠিন হওয়া সত্ত্বেও বারবার কুরআন পড়বে, সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে। ' (বুখারি, হাদিস : ৪৯৩৭)

কুরআন পাঠকের পিতা-মাতার প্রতি বিশেষ সম্মান : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 'যে ব্যক্তি কুরআন পাঠ করবে এবং সে অনুযায়ী আমল করবে, তার পিতা-মাতাকে কিয়ামতের দিন মুকুট পরিয়ে দেয়া হবে, যার নূর সূর্যের আলোর চেয়েও উজ্জ্বল হবে। আবু দাবুদ হাদীস: ১৪৫৩ |